সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহে ঈদের নামাজ আদায়
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। জেলার হরিণাকুন্ডু পৌরসভার বল ফিল্ডের সামনেসহ চারটি স্থানে রোববার (৩০ মার্চ) সকালে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের এমন ধারা গত ২৪ বছর ধরে চলে আসছে। এ সময় ঈদ জামাতের ইমামতি করেন মো. রেজাউল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
হরিণাকুন্ডু পৌরসভার বলফিল্ডের সামনে ভালকি, নিত্যনন্দনপুর, কালীগঞ্জের বারোবাজার ও সদর উপজেলার একটি অংশের মুসল্লিরা পৃথকভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ঈদ পালনের বিষয়ে তাদের নিজস্ব বিশ্বাস রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মুসল্লি আরিফ বিল্লাহ বলেন, আমরা সৌদি আরবের সময় অনুসরণ করি এবং সেভাবেই রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। এতে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে শান্তি আসে।
এদিকে, জেলার মূলধারার অন্যান্য মুসল্লিরা চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদ উদযাপন করবেন সোমবার। তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগেই ঈদ উদযাপন করা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের প্রতি এলাকাবাসীর সম্মান ও সহমর্মিতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঈদ নামাজ পড়তে আসা হারুনুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিগত ২২ থেকে ২৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে। প্রতিবছরের মত এবারও নামাজ পড়তে আসলাম। আগে সবাই এখানে একই সাথে নামাজ পড়তাম। বর্তমানে জেলার আরো তিনটা জায়গায় ঈদ জামাত হয় মুসলিম সংখ্যা একটু কম হয়।
বায়েজিদ হুসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসছি। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও যদি সাঁওতাল মাসের চাঁদ দেখা যায়, আর তা যদি দুই জন মহিলা ও দুই জন পুরুষ মুসলিম সাক্ষী দেয় তাহলে সাঁওতাল মাসে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ ফরজ হয়ে যায়। একারণে আমরা নামাজ পড়তে আসছি।
আয়োজক কমিটির সদস্য খাইরুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রমজান মাস শেষ হয়ে গেছে। আজ শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। আর ইসলামেও স্পষ্ট বলা হয়েছে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ বা ঈদ উদযাপন করতে হবে। সেকারণে আমরা অন্যান্য মুসলিম দেশের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ নামাজ আদায় করছি।
ইমাম রেজাউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, হরিণাকুন্ডুর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা এখানে আসেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। এবার হরিণাকুন্ডুর বাইরে থেকেও মুসল্লিরা আসছেন।
তিনি বলেন, আমরা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অনুসরণ করি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই চাঁদ দেখা যাক না কেন রোজা রাখতে হবে, আবার নতুন চাঁদ দেখা গেলে ঈদ উদযাপন করতে হবে। সারা পৃথিবীর মুসলিমদের জন্য জন্য একই নিয়ম।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরকে