কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের পাঁচটি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন রেস্তোরাঁ মালিকদের একজন নুরুল আলম চৌধুরী।

এর আগে দুপুরে আটক তরুণ মো. হাশিমকে (২৫) এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। হাশেম কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বানিয়াপাড়ার আবদুল হকের ছেলে। আজ দুপুরে শহরের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে হাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বড় একটি মিছিল বের করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে মিছিলটি কলাতলী সৈকত সড়কে পৌঁছালে কিছু উচ্ছৃঙ্খল তরুণ-যুবক কয়েকটি রেস্তোরাঁয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালান। হামলাকারীদের মধ্যে গ্রেপ্তার হাশেমও ছিলেন।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, রেস্তোরাঁয় ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। দুপুরে আটক হাশেমকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার সকালে হাশেমকে আদালতে হাজির করা হবে। হামলার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ পর্যালোচনা করে হাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

আরকে