ফরিদপুরে বাস উল্টে ৭ জন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ সাতজন নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা সাতজন করা হয়েছে। এ কমিটিতে বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিন্টু বিশ্বাসকে। কমিটির অপর ছয় সদস্য হলেন- বিআরটিএর সহকারী পরিচালক, জেলা পুলিশের পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক।
বিজ্ঞাপন
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। খুঁজে বের করতে হবে এ দুর্ঘটনার মূলে কোন বিষয় কাজ করেছে। দায়ী কে তা চিহ্নিত করতে হবে। দায়ী কি বাসের চালকের অতিরিক্ত গতি, নাকি সড়কের ত্রুটি, নাকি অন্য কোনো কিছু তা চিহ্নিত করবে ওই কমিটি। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তদন্ত কমিটির আহ্ববায়ক এডিএম মিন্টু বিশ্বাস বলেন, বুধবার থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু হয়েছে। তিন কর্মদিবস অর্থাৎ আগামী রোববার (১৩ এপ্রিল) প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে।
এ তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ফরিদপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি রেকারের মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকে হাইওয়ে থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। কমিটির সদস্য বুয়েটের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আসলেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবে কমিটি। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির চালককে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত,গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা এলাকায় শরিফ জুট মিলের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুরগামী ফারাবী পরিবহনের একটি বাস সময় বাঁচাতে দ্রুতগতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়কের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ওই বাসের যাত্রী বাবা ও ছেলেসহ ৭ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হন।
জহির হোসেন/আরএআর