বাবার কাছে পোলাও খাওয়ার বায়না ধরে মেয়ের আত্মহত্যা
মৃত শ্রাবন্তি
বাবার কাছে পোলাও খাওয়ার বায়না ধরে সদ্য ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠা শিক্ষার্থী। কিন্তু ভ্যানচালক বাবা মেয়ের আবদার পূরণ করতে পারলেন না। তার আগেই বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের পশ্চিম রামনগর আপন ঠিকানায় এলাকায়।
মৃত শিক্ষার্থীর নাম শ্রাবন্তি (১২)। ওই শিক্ষার্থী পশ্চিম রামনগর আপন ঠিকানার ৯৯ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল মালেক ও সানু আক্তার দম্পতির মেয়ে। শ্রাবন্তি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবার ৫ম শ্রেণি শেষ করে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির নতুন বই পেয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) বিকেলে নিজের শোয়ার ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে শ্রাবন্তি।
শ্রাবন্তির মা সানু আকতার জানান, গত কয়েকদিন ধরে শ্রাবন্তি মায়ের কাছে পোলাও খাওয়ার আবদার করে আসছিল। ভ্যানচালক বাবা পোলাওয়ের চাল আনতে না পারায় মা পোলাও রান্না করে খাওয়াতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ে জেদ করে বসলে মা সানু স্থানীয় একটি দোকানে পোলাওয়ের চাল কিনতে যান। এ সময় শ্রাবন্তি বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পোলাওয়ের চাল নিয়ে মা বাড়ি এসে দেখেন মেয়ের মরদেহ ঝুলছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, পোলাও খেতে না পারায় বাবার ওপর অভিমান করে শ্রাবন্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএম