নোয়াখালী সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি ও নকল সরবরাহে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে হয়রানির সত্যতা না পেলেও কিছু ফাইলপত্র নিয়ে গেছেন দুদকের কর্মকর্তারা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

তিন সদস্য বিশিষ্ট টিমের অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ডিডি) আবদুল্লাহ আল নোমান। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম ও কোর্ট পরিদর্শক মেসবাহ উদ্দিন।

দুদকের এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সেবাগ্রহীতারা। সেইসঙ্গে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন তারা। 

মো. রাশেদ হোসেন নামে এক সেবাগ্রহীতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেই জন্মের পর থেকে শুনে এসেছি অফিসগুলোতে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। কিন্তু আজকে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো। কোথাও কোনো ঘুষের অস্তিত্ব পায়নি। দুদক যদি এমন অভিযান সপ্তাহে একবার করে পরিচালনা করে তাহলে আমরা সবাই উপকৃত হবো। তাহলে কেউ ঘুষ বা অনিয়মের আর সাহস পাবে না। 

দুদকের নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ডিডি) আবদুল্লাহ আল নোমান ঢাকা পোস্টকে বলেন,  সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি, ঘুষ লেনদেন, নকল সরবরাহে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা চাউর হচ্ছিল। কিন্তু অভিযানে এসে এমন কিছুই পেলাম না। অনিয়ম বের করতে অনেক সেবাগ্রহীতার সাথে কথা বলেছি, কারও অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা কিছু কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য প্রেরণ করব।

নোয়াখালী সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার বুলবুল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার অফিসে নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারপরও আমি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক। সব সময় আমার রুম খোলা থাকে। মানুষ সরাসরি আমার কাছে আসে আমি তাদের কথা শুনি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তবে অফিসের বাহিরে কী হয় তা আমার জানা নেই। আমি আমার সাধ্যমতো সেবা দিচ্ছি এবং আগামীতেও দেব ইনশাআল্লাহ। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর