ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশ
সেই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে সরানো হয়েছে আলু, ফের পাঠদান শুরু
দিনাজপুর খানসামা উপজেলার উত্তর নলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির দুটি কক্ষে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি আলু মজুদ করেন। এতে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যায়।
এ নিয়ে ১৮ এপ্রিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টসহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের নজরে আসে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, ওই দুই শ্রেণিকক্ষ থেকে মজুতকৃত আলু সরিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। এতে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে ক্লাস করতে পেরে সন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহসিন আলী বলেন, ঈদের ছুটির পর ক্লাস শুরু হলে আমরা ওই ব্যক্তিকে আলু সরাতে বলি। কিন্তু তিনি সময়ক্ষেপণ করেছেন। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনার পর শ্রেণিকক্ষগুলো থেকে আলু সরিয়ে পাঠদান শুরু করা হয়েছে।
স্কুল শিক্ষার্থী মিম ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন আমাদের শ্রেণিকক্ষে আলু রাখায় ক্লাসে বসার জায়গা ছিল না। ফলে ক্লাস না করে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছিল। শ্রেণিকক্ষ থেকে আলু সরিয়ে নেওয়ায় এখন ক্লাস করতে পারছি।
খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনজুরুল হক বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে আলু রাখায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছিল না। সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসার পরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে আলু সরিয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসের পরিবেশ নষ্ট করে শ্রেণিকক্ষে কোনো ধরনের জিনিসপত্র মজুত করা যাবে না। এতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। এ ধরনের ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পবিত্র ঈদুল-ফিতরের ছুটির সময়ে বিদ্যালয়ের জমিদাতা নুরুল ইসলাম শাহের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন শাহ শ্রেণিকক্ষ দুটি তালাবদ্ধ করে সেখানে আলু সংরক্ষণ করেন।
সোহাগ গাজী/আরকে