ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল হাসেম (৫০) নামে বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পূর্বশত্রুতা ও প্রতিশোধ নিতে ১০ জন মিলে এই কিলিং মিশন পরিচালনা করেন বলে জবানবন্দিতে জানান তারা। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা ও অপরাজিতা দাশ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি আক্তার হোসেন, ১১ নম্বর আসামি রাকিবুল ইসলাম, তদন্তে শনাক্ত আসামি বেলায়েত হোসেন মামুন ও সোলেমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, ২২ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে তারা বোরকা ও মাস্ক পরে ওলামা বাজার সংলগ্ন সাজেদা ফাউন্ডেশনের পেছনে অবস্থান নেন। সেদিন ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হাসেম ওই সড়ক অতিক্রম করার সময় তারা রশি দিয়ে তার পথরোধ করেন। পরে রড, লাঠি ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাসান বলেন, পূর্বশত্রুতা, বেলাল হত্যা মামলায় হাসেমের সংশ্লিষ্টতা ও স্থানীয় সুফিয়ান মেম্বরকে পঙ্গু করার ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তারা এ হত্যার পরিকল্পনা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকন বলেন, এ মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য তিনজন এখনো জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে সোনাগাজী উপজেলার ওলামা বাজার এলাকায় আবুল হাসেমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস শুক্কুর বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামলা করেন।

তারেক চৌধুরী/আরএআর