নিখোঁজের ৯ দিন পর শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সহলাপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের বাড়ির পাশে ভেতর বিল নামক এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছ পুলিশ। তবে তাদের নাম-ঠিকানা জানানো হয়নি। পুলিশ বলছে, ঘটনাটির সত্যতা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
বিজ্ঞাপন
নিহত শিশুটি নাম কাফি খন্দকার (৮)। সে সহলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের একমাত্র ছেলে। নশিপুর দৌলতগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল কাফি।
নিহত শিশুর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে শিশু কাফি খন্দকার বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে রাতে আর বাড়িতে ফিরেনি। পরিবারের সদস্যরা আত্নীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে তাকে পায়নি। এ ঘটনায় পরদিন ১৯ এপ্রিল কাফি খন্দকারের বাবা ক্ষেতলাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে থানা-পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ডিবি পুলিশকে ঘটনাটি জানান।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
পুলিশ ও র্যাবের একটি দল একটি চিরকুটের সূত্র ধরে নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। শনিবার দুপুরে মোশারফ হোসেন কলমের স্ত্রী হাবিবা খাতুন বাড়ির পাশে খড়ের পালায় খড় নিতে গিয়ে দুর্গন্ধ অনুভব করেন। তিনি ভেতর কচুরিপনার কাছে গিয়ে একটি শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে গ্রামের লোকজনদের খবর দেন।
নিখোঁজ কাফি খন্দকারের মা-বাবা এসে মরদেহটি তাদের সন্তানের বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্র নাথ সিংহ বলেন, ৯ দিন আগে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল। শনিবার দুপুরে গ্রামের হাবিবা খাতুন নামে এক গৃহবধূ খড় পালায় খড় নিয়ে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পেয়েছেন। সন্দেহভাজন তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। এখন তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারছি না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
চম্পক কুমার/এএমকে