ময়মনসিংহে এএসপি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা, জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ

বাদীর দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে আসামির নাম কর্তন করে অন্য ব্যক্তিকে আসামি করায় ময়মনসিংহে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক এ.কে.এম ছিফাতুল্লাহ এই আদেশ দেন।
 
মামলার আসামিরা হলেন- ঈশ্বরগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও বর্তমান পুলিশের এএসপি মো. মিজানুর রহমান এবং একই থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহারুল ইসলাম। মাজহারুল ইসলাম বর্তমানে ওসি হিসাবে কর্মরত বলে জানা গেছে।    

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আজহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৭ এপ্রিল দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরিচারচর গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। এরপর বিজ্ঞ বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে রেজিস্ট্রার খাতায় মামলা (২৭৭/২৫) হিসেবে নথিবদ্ধ করেন। আজ এই মামলার চূড়ান্ত আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

আদেশে বলা হয়, মামলাটি তদন্ত করবে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসাইন। তবে কতদিন পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত চলবে, তা বিচারকের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী।    

মামলার আইনজীবী শাহজাহান কবীর সাজু বলেন, একটি মারামারি ও হত্যার ঘটনায় ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২ জনকে আসামি করে বাদী গিয়াস উদ্দিন একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে নথিবদ্ধ করতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। কিন্তু বাদী আদালতে যে মামলাটি করেছিলেন, সেটিতে লেখা ১ নম্বর আসামির নাম কেটে থানার তৎকালীন ওসি এবং এসআইয়ের যোগসাজশে অন্য এক ব্যক্তির নাম লিখে কৌশলে বাদীর টিপসই নেন।

পরবর্তী সময়ে আদালত থেকে বাদী মামলার কপির নকল তুলে দেখেন, অন্য একটি মামলা লিখে বাদীর সই নিয়ে মামলাটি যে এজাহার হিসেবে নথিবদ্ধ করেন, তাতে বাদীর নালিশি মামলার ১ নম্বর আসামির নাম বাদ দিয়ে তার ভাতিজা মো. আবদুর রশিদের নাম লেখা রয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাদী সংশ্লিষ্ট দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বাদী ন্যায় বিচার পাবে বলে আশা করছি।    

আমান উল্লাহ/আরকে