কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ পরিবারকে সরকারি ঘর হস্তান্তর
২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমিল্লার ৭০টি পরিবারকে সরকারি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
ভার্চুয়ালি রাজধানী ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সঙ্গে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কুমাল্লা গ্রামের উপকারভোগী মো. আলম মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে অনুষ্ঠানটি সংযুক্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বন্যা দুর্গতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গত বছরের বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা আমরা বুঝতে পেরেছি বন্যা শেষ হওয়ার পর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর। বাংলাদেশ সরকারের হিসেবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো যে দায়িত্ব ছিল আমরা তা পালন করেছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গৃহহীনদের এসব ঘর তৈরি করে দিয়েছে, তারাসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ সময় বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
কুমিল্লা প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এনামুল হক, ২৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসানসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে কুমিল্লার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা থেকে আগত উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের বন্যায় কুমিল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনদের ৩০০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কুমিল্লা জেলায় নির্মিত ৭০টি ঘর উদ্বোধন ও হস্তান্তর করা হয়। জেলার বুড়িচংয়ে ২৯টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০টি, সদর দক্ষিণে ৬টি, চৌদ্দগ্রামে ১০টি, মনোহরগঞ্জে ১০টি ও নাঙ্গলকোটে ৫টি ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এসব গৃহনির্মাণ বাস্তবায়ন করে।
আরিফ আজগর/এএমকে