ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্যের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কুদ্দুছ মোল্লা (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে,রবিবার (৪ এপ্রিল) রাতে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে আধিপত্য বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে কুদ্দুছ মোল্লা (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন। 

রোববার (৪ এপ্রিল) রাত ৮টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষ বিরোধে জড়িত। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন গ্রামের দবির মাতুব্বর (৬৫), অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন বজলু মুন্সী (৬০)।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে কয়েক শত লোক ঢাল, সড়কি, রামদা ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। টর্চলাইট জ্বালিয়ে শুরু হয় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা, যা চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। গুরুতর আহত কুদ্দুছ মোল্লাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় কোপের চিহ্ন ছিল।

নিহতের ছেলে মিঠুন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে দবির মাতুব্বরের নেতৃত্বে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তানসিফ জুবায়ের বলেন, সংঘর্ষে আহত অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নিহত কুদ্দুছ মোল্লার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।

ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। একজন নিহত হয়েছেন এবং বহু আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জহির হোসেন/এমএসএ