‘বিল বেশি আসায় মসজিদের এসি বন্ধের নির্দেশ ইউএনওর, মুসল্লিদের ক্ষোভ’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের এসিগুলো অবশেষে চালু করে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এসি বন্ধের একদিন পর বুধবার (৭ মে) জোহরের নামাজের আগে মসজিদের এসিগুলো পুনরায় চালু করা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (৬ মে) আসরের নামাজের পর এসি বন্ধের প্রতিবাদে মসজিদ চত্বরে কয়েক মিনিটের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন স্থানীয় মুসল্লিরা। মুসল্লিদের অভিযোগ ছিল, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুলের নির্দেশেই এসিগুলো বন্ধ করা হয়েছিল।

এসি চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী বলেন, ইউএনও স্যার মোয়াজ্জেমকে এসি চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর আমিও তাকে বলে দিয়েছি যেন এসিগুলো চালু রাখা হয়।

স্থানীয় মুসল্লি সোহেল মাহমুদ খান ও নজরুল ইসলাম বলেন, জোহরের নামাজের সময় আমরা এসি চালু অবস্থায় পেয়েছি, কোনো শর্ত ছাড়াই। এতে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।

তবে এ বিষয়ে ইউএনও অনামিকা নজরুলের মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি এবং ক্ষুদে বার্তারও কোনো উত্তর দেননি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারের প্রতিবাদ ও সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত পাল্টে আবারও এসি চালুর নির্দেশ দিলে মুসল্লিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

মো. নাজমুল হাসান/এএমকে