ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসের সুপারভাইজার ও হেল্পারকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আশপাশ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে হাসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদির জিলানী।

আটককৃতরা হলেন—গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস (২৩) ও হেল্পার সাইফুল ইসলাম শান্ত (২৬)। কল্যাণ বিশ্বাস ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার তারাপুর গ্রামের মৃত কানাই লাল বিশ্বাসের ছেলে। হেল্পার সাইফুল ইসলাম শান্ত (২৬) ঢাকার মীর হাজারিবাগ এলাকার আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুকুর এলাকা থেকে রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল ১০ জন। পথিমধ্যে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের চাকা বিকল হয়ে যায়। এরপর মহাসড়কের পাশে থেমে অ্যাম্বুলেন্সটির চাকা মেরামত করা হচ্ছিল। এ সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দেয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের চাপা দেয়। এতে পাঁচজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হন।

অ্যাম্বুলেন্সে থাকা স্বর্ণা আক্তার নামে এক জীবিত নারী জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুকুর এলাকায়। বিল্লাল ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) অন্তঃসত্ত্বা। চলতি মাসের ২৩ তারিখ তার বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল। তবে গতরাত থেকে তার ব্যথা হচ্ছিল। এজন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাতে পরিবারটির ১০ জন মিলে ঢাকার পথে আসছিলেন। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা ছিল।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তারা কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে বসে ছিলেন, আর কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেরামত প্রায় শেষের দিকে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে এসে সজোরে অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই আফসানা নিহত হন। বাকি চারজন ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার সময় মারা যান।

ব.ম শামীম/এএমকে