ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুত রেলসেবা চালুর দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রতিক তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার করে দ্রুত রেলসেবা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার (০৫ মে) বেলা ১১টায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলওয়ে স্টেশনের ভেতরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ স্টেশনটি। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ থেকে পূর্বাঞ্চল রেলপথে চলাচলকারী সকল ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুন নূরের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য নজরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, আইনজীবী রাখেশ রায় প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাণ্ডবের জন্য হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু তাদের কারণে সাধারণ মানুষ কেন দুর্ভোগ পোহাবে? তাই দ্রুত রেলওয়ে স্টেশনটি সংস্কার করে সকল ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি পুনরায় চালু করার দাবি জানান বক্তারা।
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি হেফাজতের ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির শীর্ষ দুই নেতাসহ তাণ্ডবে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর