গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেছেন, সংবিধান হবে গণমানুষের। এতে জনতার মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকারের সুরক্ষায় সংসদে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গ্রাউন্ড ফ্লোরে অনুষ্ঠিত "অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রূপরেখা" বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

একাত্মতার দেয়াল ও গণতান্ত্রিক আইন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় ববি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানজুর আল মতিন বলেন, সংবিধানে শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিক সমাজ ও শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে উন্নয়নের রোডম্যাপ ঘোষণার প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, নিম্নকক্ষ সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সাংসদ নির্ধারণ এবং সংখ্যানুপাতের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।

জননিরাপত্তাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিয়ে সংবিধানকে জনবান্ধব করতে হবে।  মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কখনো কখনো মূল আলোচনাকে বাইপাস করার জন্য কিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয় সামনে নিয়ে আসে কেউ কেউ।

তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে সংবিধানকে জনবান্ধব করতে হবে। 

মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সংগীত প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, কখনো কখনো মূল আলোচনাকে এড়িয়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয় সামনে আনা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভ, গণতান্ত্রিক আইন ছাত্র পরিষদের সংগঠক সুদীপ্ত হালদার, শওকত ওসমান স্বাক্ষর, আব্দুর রহমান, ভূমিকা সরকার, নিশাত মালিহা ঐশী, মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রমুখ।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসএ