নিহত যুবক খোরশেদ আলম

কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার সময় গোলাগুলিতে খোরশেদ আলম (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত খোরশেদ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকার গোলাম হোসনের ছেলে এবং গ্রেফতার শামসুল আলমের ছোট ভাই।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই রতন (৩১), কনেস্টবল শরিফুল (৪৬), বলরাম (২৫)।

নিহতের পরিবারের দাবি, শামসুল আলম পুলিশের হাতে আটকের খবর শুনে ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে ঘটনাস্থলে ভাইকে দেখতে ছুটে যান খোরশেদ আলম। এ সময় পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে মাদক মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি শামসুল আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে থানায় নেয়ার পথে হাবিরছাড়া এলাকায় পৌঁছালে তার লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুলকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় গোলাগুলিতে আহত হন তিন পুলিশ সদস্য।

তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে সে কার গুলিতে মারা গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটক শামসুল আলম একজন র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি।

এসপি