টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের মশাল মিছিল, গ্রেপ্তার ৪
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের সহযোগী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে গ্রেপ্তার ৪ জনের মধ্যে তিনজনকে টাঙ্গাইল সদর থানায় সোপর্দ করে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পাথাইলকান্দি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাগর আলী (২৭), ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী ও আব্দুস ছাত্তার ফকিরের ছেলে সুমন ফকির (৩২) এবং অপরজন চর পাথাইলকান্দি গ্রামের শাহ আলম প্রামাণিকের ছেলে মামুন প্রামাণিক (৩০)।
অন্যদিকে, মির্জাপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি নিষিদ্ধ সংগঠনের যুবলীগ নেতা পাকের আলীকে একইদিন রাতে নিজ এলাকা থেকে আটক করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। পরে তাকে রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করে। তিনি উপজেলা পৌর শহরের বীরহাটি গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, গত ১৪ এপ্রিল বুধবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে মশাল মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের নির্দেশ দেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি ছোট মনির। জিজ্ঞাসাবাদে এ বিষয়টি স্বীকার করেন গ্রেপ্তার পাকের আলী, সাগর আলী ও সুমন। মামুন তাদের সহযোগী ছিলেন। পরে তাদের শনিবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মিছিলে আরও যারা অংশ নিয়েছেন তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, গত রোজার ঈদে ছোট মনির অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও মিছিল-মিটিংয়ের জন্য গ্রেপ্তার সাগরকে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা পাঠায়। সেই টাকা তিনি তার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কৌশলে নেতাকর্মীদের প্রদান করতেন বলেও জানান সাগর আলী।
আরিফুল ইসলাম/এমএন