বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। সরকারকে আমরা বলেছি আপনারা সংস্কার করেন এরপর নির্বাচন দেন। আগে বিচার করেন এরপর সিদ্ধান্ত নেন যে কারা নির্বাচন করার জন্য যোগ্য, আর কারা যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। সেভাবে নির্বাচন করতে হবে। আমরা আশা করি সেভাবে নির্বাচন হবে।

শনিবার (১৭ মে) রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজনে ওয়ার্ড ও ইউনিট সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিস্টদের অত্যাচারে নির্যাতিত হয়েছে। ওয়ালামে কেরামদেরকে শেকল বেঁধে হাতে হাতকড়া এবং পায়ে বেড়ি দিয়ে জেলখানায় নিয়ে চলে গেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো সময় এতো আলেমকে এভাবে হাতে পায়ে বেড়ি দিয়ে জেলখানায় রাখা হয়নি।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসকে ধ্বংস করেছে। কেয়ারটেকার সরকারকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজম ছিলেন এই কেয়ারটেকার সরকারের রুপকার। কেয়ারটেকার সরকারকে দিয়েই নির্বাচন দেওয়া দরকার। সবাই মেনে নিল, এমনকি এই ফ্যাসিস্ট সরকারও তখন মেনে নিয়েছিল। নেওয়ার পরে দেখল যে এখন যদি আমাদের গণতান্ত্রিক মাধ্যমে চলে যেতে হয় তাহলে তো এটা বাদ দিতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনকে হত্যা করা হলো কখন যেদিন কেয়ারটেকার সরকারকে সংবিধান থেকে বিদায় করে দেওয়া হলো।

ওয়ার্ড ও ইউনিট সভাপতি সম্মেলনে পঞ্চগড় জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এবং জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পঞ্চগড় জেলা শাখার ওয়ার্ড ও ইউনিট সভাপতিসহ জেলা জামায়াতে ইসলামী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরকে