১১ জেলায় ৬৫০ গাছ লাগিয়েছে ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার
‘করোনাকালে প্রকৃতির কদর বেড়েছে অনেকাংশেই। তবে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে যুগ যুগ ধরে। প্রতিবছরের ৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা ও নতুন পদক্ষেপকে উৎসাহিত করতে জাতিসংঘ যথাযথ গুরুত্বসহকারে পরিবেশ দিবস পালন করে।
দূষণের মধ্যেই প্রতিনিয়ত শ্বাস নিচ্ছি আমরা প্রত্যেকে। ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে পৃথিবী। দূষণ একটি স্লো পয়জনের মতো মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানবজাতিকে। তাই এখন প্রয়োজন পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের হাতে যেটুকু ক্ষমতা আছে, তা দিয়েই প্রকৃতিকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করতে পারি।’
বিজ্ঞাপন
৫ জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিনটিকে কেন্দ্র করে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার সংগঠনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ১১টি জেলায় এভাবেই ক্যাম্পেইন করা হয়।
দেশের ১১টি জেলায় সংগঠনের প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবক মিলে প্রায় ৫০০-এর বেশি গাছ লাগিয়েছেন এবং রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার ‘চলো বদলে যাই’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫০টি গাছ বিতরণ করেন তারা।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির ঘোষণা অনুযায়ী ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে এবং ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ করি, প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করি’ স্লোগান সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার পথচলার শুরু থেকেই ক্লাইমেট চেঞ্জ, ফরেস্ট্রি, চাইল্ড রাইটসসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) নিয়ে কাজ করে আসছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকারের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর লাবিবা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাসের এই মহামারির মধ্যে নিজ বাসায় থেকে সবুজ পৃথিবী গড়ার দারুণ একটি সময়। তাই আমাদের প্রতিটি মানুষের উচিত প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়, এদিকে খেয়াল রেখে নিজের বাসা-বাড়ির ছাদে বেশি বেশি গাছ লাগানো। তার ইচ্ছা, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হোক।
সংগঠনের ফাউন্ডার জুনায়েদ সজীব বলেন, জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি সেই শুরু থেকে। ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকারের বাংলাদেশে থাকা প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবক মিলে প্রকৃতি সবুজায়ন করার জন্য কাজ করছেন। তারা ৫০০টির বেশি গাছ লাগিয়েছেন। সত্যিই অনেক ভালোলাগা কাজ করছে। এভাবে কাজ করলে একদিন সবুজে ঘিরে যাবে পৃথিবী।
জুনায়েদ সজীব বলেন, এবারের জলবায়ু সম্মেলনে চারটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ১. ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা। কারণ, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ একেবারে শূন্যতে নামিয়ে আনতে হলে এটি করা জরুরি। ২. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে থাকবে, সেগুলোর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. এসব কাজ করার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। সে জন্য প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল করার জন্য উন্নত দেশগুলোকে ভূমিকা রাখতে হবে। ৪. জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এনএ