রংপুরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন করছে সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশন।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ থেকে ‘দ্যা ফিউচার অব পিসকিপিং’ স্লোগানে শান্তিরক্ষী র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেডিকেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। 

পরে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সবাই সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্তকরণ ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন, সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, দীর্ঘ চার দশকের শান্তিরক্ষার ইতিহাসে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪৩টি দেশ ও স্থানে, ৬৩টি জাতিসংঘ মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ১০টি দেশে আমাদের ৫ হাজার ৮১৮ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছে যার মধ্যে রয়েছে ৪৪৪ জন নারী শান্তিরক্ষী। শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সর্বমোট ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাসদস্য প্রেরণের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (মেজর জেনারেল এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবির) জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।  

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরকে