প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

গণসংযোগ আর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে লালপুরের গোপালপুর পৌরসভা নিবার্চন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী  পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। মোটরসাইকেল শোডাউন, গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণাসহ মাইকিংয়ে প্রার্থীদের নাম ও তাদের নিজ নিজ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বানে মুখরিত গোপালপুর পৌর এলাকা।

প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পরিচ্ছন্ন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত আধুনিক পৌরসভা গড়ার। নির্বাচনে প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। অন্যদিকে ভোটারদের মধ্যে নানা রকম গুঞ্জন চলছে। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তারা।

শহরের রাস্তাঘাট, অলিগলি ও পাড়া-মহল্লা এখন মিছিল আর স্লোগানমুখর। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বসতবাড়িতেও আলোচনার বিষয় নির্বাচন। প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন তাদের নির্বাচনী এলাকা।

গোপালপুর পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৩৫টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৬৫৪ জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ৮৮১ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৯টি।

গোপালপুর পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১২ জন। এর মধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অংশগ্রহণ না করায় একজন সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন।

গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত রোকসনা মোর্ত্তজা লিলি, বিএনপি থেকে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন কচি, স্বতন্ত্র পদে মুঞ্জুরুল ইসলাম বিমল (রেল ইঞ্জিন প্রতীক) এবং আব্দুল হান্নান (নারিকেল গাছ)। 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। পৌর এলাকার মানুষ নৌকা প্রতীকে তাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করে মেয়র পদটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে উপহার দিবেন।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন কচি বলেন, সুুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ ভোট হলে ধানের র্শীষ প্রতীক নিয়ে আমি বিজয়ী হব।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুঞ্জুরুল ইসলাম বিমল বলেন, আশা করি সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন সুষ্ঠু পরিবেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাসিব বিন শিহাব বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।

এসপি