ফেনীতে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও আগাম প্রস্তুতির দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ নিয়ে বন্যা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ১৩ দফা দাবি তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক আজিজুর রহমান রিজভী এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

স্মারকলিপিতে বন্যার সময়ে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম (স্পিডবোট, ফ্লোটিং বোট, লাইফ জ্যাকেট, ওয়াকিটকি, টর্চলাইট) ইত্যাদি পর্যাপ্ত মজুত করাসহ বন্যাকালীন ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ক্যাম্প, গর্ভবতী নারীদের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও সাপের কামড় প্রতিরোধে অ্যান্টিভেনম মজুতসহ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করার কথা বলা হয়েছে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, গেল বছর ফেনীর জনপদ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি প্রতিটি খাতেই শত কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার যথাসময়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। এতে জানমাল রক্ষা করে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ১৩ দফা দাবি তুলে ধরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও জানান।

১৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে–

১. আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সংস্কার, পানি-স্যানিটেশনসহ বিদ্যুৎ ও খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
২. উদ্ধার সরঞ্জামাদির পর্যাপ্ত সরবরাহ ও প্রস্তুতি।
৩. জরুরি প্রয়োজনে নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বিমানবাহিনীর সহায়তা।
৪. খাদ্য, পানি, ওষুধ ও শিশুখাদ্যের জরুরি মজুত নিশ্চিতকরণ।
৫. ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন ও বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা।
৬. নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সুবিধার ব্যবস্থা।
৭. বন্যা পূর্বাভাস ও ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং সেল গঠন।
৮. ভারত থেকে পানি ছাড়ার আগাম তথ্য বিনিময়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ।
৯. কমিউনিটি ফ্লাড রেসপন্স টিম গঠন ও প্রশিক্ষণ।
১০. গবাদিপশু ও কৃষি সম্পদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা।
১১. বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে স্থায়ী পর্যবেক্ষণ টাস্কফোর্স গঠন।
১২. জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামত কার্যক্রম।
১৩. বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থার প্রস্তুতি।

তারেক চৌধুরী/এসএসএইচ