গাইবান্ধায় ১৯ ঘণ্টায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ ঘণ্টায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭ জন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত থেকে শুক্রবার (৬ জুন) বিকেল পর্যন্ত ১৯ ঘণ্টার ব্যবধানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের দোকানঘর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন– উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গ্রামের অটোরিকশাচালক গনি মিয়া (৪০), সাজ্জাদ মিয়ার ছেলে লিয়াকত (১৮), ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ইবনুরুল (১৮) এবং হারুন মিয়ার ছেলে নিরব (১৬)।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চারমাথা এলাকায় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রইচ উদ্দিন (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও দুজন।
একই উপজেলায় বিকেলের দিকে গোবিন্দগঞ্জ-ঘোড়াঘাট সড়কের বোগদহ কলোনি এলাকায় ট্রাকচাপায় সিএনজি অটোরিকশাচালক ও এক শিশুসহ আরও দুজন প্রাণ হারান। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। নিহতদের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের চাঁপড়ীগঞ্জ এলাকায় একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা খেলে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী আনোয়ার হোসেন (৩০) ও শারমিন বেগম (২৫) মারা যান। তারা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলকুড়ি ইউনিয়নের কাঠগিরি গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে ও পুত্রবধূ। জানা গেছে, দুজনেই ঢাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করতেন এবং মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন। তিনি জানান, গত ১৯ ঘণ্টায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন পাঁচজন। এছাড়াও পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কে মারা গেছেন আরও চারজন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রিপন আকন্দ/এসএসএইচ