নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে এক জেলের জালে ২১ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ  ধরা পড়েছে। পরে মাছটি নিলামে ২৯ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারের ইব্রাহিম মৎস্য আড়তে মাছটি নিলামে বিক্রি করা হয়। 

জানা গেছে, জামশেদ মাঝি নামে এক জেলে মেঘনা নদীতে রোববার রাতে জাল ফেলেন। এ সময় জালে বিশাল আকৃতির কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। পরে সোমবার (৯ জুন ) সকালে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারের ইব্রাহিম মৎস্য আড়তে নিয়ে আসলে আলতাফ বেপারি নিলামে ১৪০০ টাকা কেজি হিসেবে মাছটি ২৯ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে নেন। 

ইব্রাহিম মৎস্য আড়তের পরিচালক মো. সোহেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলে জামশেদ মাঝি আমাদের আড়তে ২১ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ নিয়ে আসেন। নিলামে  আলতাফ বেপারি ২৯ হাজার ৪০০ টাকায় কোরাল মাছটি কিনে নেন। আমরা খুব কম এত বিশাল কোরাল পাই। এখানে প্রায় সময় ১৭  থেকে ১৮ কেজির ওপরে কোরাল মাছ পাওয়া যায়।

ইব্রাহিম মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. ইব্রাহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন মেঘনা নদী বেষ্টিত। এখানকার জেলেরা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রায় বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে এ বছরে প্রথম এত বড় কোরাল পাওয়া গেল। বড় কোরালের চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া গেছে। 

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদী ও সাগরে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মেঘনায় বড় বড় পাঙাশ ও কোরাল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশা করছি সামনে জেলেরা বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন।

হাসিব আল আমিন/আরএআর