নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ঈদ আনন্দ মেলার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া ও নানা ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম।এমন অভিযোগে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব কার্যকলাপ চললেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ছমির হাট বাজারের পাশে ১৫ দিনব্যাপী ঈদ আনন্দ মেলার আয়োজন করেন জামাল উদ্দিন সেন্টু। সেখানে মেলায় আনন্দ বিনোদনের জন্য নানান খেলা থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলার পাশাপাশি বিচিত্রা অনুষ্ঠানের নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। এতে করে উঠতি বয়সী যুবকেরা হুমড়ি খেয়ে ছুটছে মেলা অভিমুখে। এছাড়া রাতের আঁধারে জুয়ার আসর বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ লক্ষ টাকা। এতে সর্বস্বান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

চরবাটা ইউনিয়নের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম ছোটদের আনন্দের জন্য মেলা বসেছে। কিন্তু রাতে দেখি সেখানে জুয়া আর নাচের নামে অশ্লীলতা চলছে। নারীরা পর্যন্ত নিরাপদ বোধ করেছে না।

আবু সাইদ নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুবর্ণচরের মাটিকে যারা কলুষিত করার প্ল্যান করতেছেন আপনাদের কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না! এলাকার মানুষেরা সচেতন হোন। আপনার প্রিয় সন্তানের চরিত্র ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচান। এছাড়া ওপেন জুয়া খেলা চলতেছে! চরজব্বার থানা পুলিশ ও ইউএনও ম্যাডাম বসে না থেকে এদের কার্যক্রমকে প্রতিহত করুন।

অভিযোগ অস্বীকার করে মেলার আয়োজক জামাল উদ্দিন সেন্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ আনন্দের জন্য ৬ তারিখ থেকে ছোট করে মেলার আয়োজন করেছি। আমি প্রশাসনের থেকে কোনো অনুমতি নেই নাই। আমার মেলায় কোনো অশ্লীলতা বা জুয়া নেই। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। কেউ যদি বলে জুয়া আছে এবং প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে আমাকে যা শাস্তি দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব।

সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আসফার সায়মা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেলার আয়োজক প্রশাসন থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। মেলাটির বিষয়ে আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হাসিব আল আমিন/আরকে