গাইবান্ধায় পৃথক সড়ক ও রেল দুর্ঘটনায় এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) জেলার গোবিন্দগঞ্জ সদর ও পলাশবাড়ি উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধার বোয়ালী ইউনিয়নের নশরৎপুর এলাকায় করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে নাহিদ মিয়া (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।

রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান নাহিদ। খবর পেয়ে বোনারপাড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, একই দিন দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর বাজার এলাকায় চলন্ত ট্রাকচাপায় তাওহীদ (২০) নামে এক কলেজছাত্র প্রাণ হারান। তিনি গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাওহীদ একটি রিকশাভ্যানে করে মহিমাগঞ্জ থেকে গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তুষবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানের পাশ ঘেঁষে চলে গেলে তিনি নিচে পড়ে যান এবং ট্রাকের পেছনের চাকায় পিষ্ট হন। গুরুতর অবস্থায় তাকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে, তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

এ ছাড়া সন্ধ্যায় পলাশবাড়ী উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ী পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি বিআরটিসি বাস উল্টে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পড়াশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বিআরটিসি বাস ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ী পেট্রোল পাম্পের সামনে উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নামপরিচয় জানাতে পারেননি ওসি।

রিপন আকন্দ/এএমকে