ঢাকা পোস্টকে ধন্যবাদ জানাল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের বরুনাগাঁওসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল, সুপেয় পানির সংকট, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, রাস্তা ও টাকার বিনিময়ে ঘর হস্তান্তরের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
গত ১২ জুন ঢাকা পোস্টে ‘সামান্য বাতাসেও যেন কেঁপে ওঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে সালন্দর ইউনিয়নের বরুনাগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন নাহার ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
এসময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রত্যেকটি ঘরের বাসিন্দাদের সমস্যাগুলো শোনেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘর সংস্কার, সুপেয় পানির সংকট, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দেন এই দুই কর্মকর্তা।
এ দিকে ঘরের ফাটল ও সুপেয় পানির সংকট, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, রাস্তাসহ সকল সমস্যার সমাধন দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দেওয়ার আশ্বাসে আনন্দে আত্মহারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।
বিজ্ঞাপন
ঠাকুরগাঁও জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন নাহার ঢাকা পোস্টকে জানান, কয়েক দিন আগে দেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ঢাকা পোস্টে ‘সামান্য বাতাসেও যেন কেঁপে ওঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যারের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর তিনি আমাকে আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। ডিসি স্যারের নির্দেশে আজ দুপুরে সদর ইউএনওকে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শন করতে আসি। ঢাকা পোস্টের সংবাদে যা বলা হয়েছে পরিদর্শনে তাই পেয়েছি। এখানকার বাসিন্দাদের সকল সমস্যার কথা শুনেছি। আমি বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরব এবং দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়াও এখানকার বাসিন্দারা সকলেই দিনমজুর, অসহায় দরিদ্র। তারা যেন সরকারি সব সুযোগ সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করা হবে। জনদুর্ভোগের খবর প্রকাশ করার জন্য ঢাকা পোস্টকে ধন্যবাদ জানাই। ঢাকা পোস্টের সংবাদের মাধ্যমে আমরা অনেক অজানা খরব জানতে পারি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, ঢাকা পোস্টে খবর প্রকাশের পর প্রশাসনের লোকজন এসেছিলেন, তারা আমাদের ঘর মেরামত ও যাতায়াতের জন্য রাস্তা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন, এতে আমরা খুশি।
তারা আরও বলেন, এর আগে অনেক অফিসারের কাছে আবেদন করেছি ফাটল ঘরগুলো মেরামত করে দেওয়ার জন্য। দেখতে আসবে বলে কোনো অফিসার আর আসেনি। তারা আমাদের ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। কিন্তু কখনও ভাবিনি যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যার ও ইউএনও স্যার আসবেন। স্যারেরা আমাদের ঘরগুলো দেখেছে, আমাদের সমস্যা কথা শুনেছে। এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘরগুলো মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
রেদওয়ান মিলন/এমএএস