‌পেটের ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হন গর্ভবতী রত্না বিশ্বাস (৩৬) নামে এক নারী। শুক্রবার (২০ জুন) ভোররাত ৪টার দিকে ওয়াশরুমে যান রত্না।

সেখানেই রত্না পুত্র সন্তান প্রসব করেন। পরে সেই নবজাতককে হত্যাচেষ্টা করেন। চিৎকার শুনে তার হাত থেকে শিশুটিকে রক্ষা করেন সেবিকারা। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে।

অভিযুক্ত রত্না বিশ্বাস বাঘারপাড়া উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের রমেশ বিশ্বাসের স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০ জুন ভোররাত ৪টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ওয়ার্ডের ওয়াশরুমে যান রত্না। সেখানে কোনো ধরনের চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে ওই নারী নিজেই নবজাতককে নিজের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেন এবং তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। ওয়াশরুমে থাকা বদনার পানি নবজাতকের মুখে ঢেলে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা চালান। চিৎকার শুনে কর্তব্যরত নার্স দ্রুত ছুটে এসে শিশুটিকে মায়ের হাত থেকে উদ্ধার করেন। নবজাতকটিকে তাৎক্ষণিকভাবে শিশু ইউনিটে স্থানান্তর করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। বর্তমানে শিশুটি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এদিকে রত্না বিশ্বাসকে গাইনি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রত্নার স্বামী রমেশ বিশ্বাস বলেন, রত্না দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বিষয়টি নিয়ে পরিবার থেকে চিকিৎসার চেষ্টা চলছিল।

ঘটনাটি হাসপাতালজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নার্সরা বলেন, এমন ঘটনা তাদের কর্মজীবনে নজিরবিহীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে যশাের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আ ন ম বজলুর রশিদ টুলু বলেন, বর্তমানে নবজাতকটি সুস্থ আছে।

আরকে