সেনা-পুলিশের চেকপোস্ট দেখেই গাড়ি ফেলে দুই যুবকের দৌড়
সড়কে শৃঙ্খলা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঠাকুরগাঁওয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় দুই যুবক মোটরসাইকেল সড়কে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে সেনাবাহিনীর ঠাকুরগাঁও স্থায়ী ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার কুতুবউদ্দিন ও ট্রাফিক পুলিশের শহর ও যানবাহন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক হাসান আসকরী'র নেতৃত্বে শহরের গড়েয়া রোড সালন্দর মাদরাসা পাড়া এলাকায় চেকপোস্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঢাকা পোস্টকে জানা যায়, চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান চলমান রয়েছে। চেকপোস্টের অংশ হিসেবে আজ বিকেলে গড়েয়া রোডে বসা হয়। এসময় শহর থেকে কালিতলা বাজারের উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে দুই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা তাদের সিগন্যাল দিলে মোটরসাইকেল ফেলে ভৌঁ দৌড় দেন তারা। পরে মোটরসাইকেলটি জব্দ করে সেনা ও পুলিশের সদস্যরা তল্লাশি করলে গাড়ির সিটের ভেতরে মাদক দ্রব্যের কিছু উপকরণ পাওয়া যায়। পরে মোটরসাইকেলটি বিরুদ্ধে মামলা দেয় পুলিশ।
জানা গেছে, আটক মোটরসাইকেলের মালিক দক্ষিণ সালন্দর মাদরাসা পাড়ার মোকসুর রহমানের ছেলে রাফি। আর সঙ্গে থাকা আরেক যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। রাফি স্থানীয় এক বিএম কলেজে পড়াশোনা করে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ঠাকুরগাঁও ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে সন্দেহভাজন যানবাহন ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল থামানো হচ্ছে। যাদের লাইসেন্স নাই এবং হেলমেট ব্যবহার করছেন না তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে জরিমানা করা হচ্ছে। আজকে ১১টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চেকপোস্ট চলাকালে হলুদ রঙের একটি মোটরসাইকেলকে আটক করা। আটকের পর গাড়িতে মাদকদ্রব্যের কিছু উপকরণ পাওয়া যায়। গাড়ির মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
চেকপোস্ট ও অভিযানে ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মোস্তাফিজার রহমান ও সার্জেন্ট মো. আরেফে রব্বানীসহ সেনা ও ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য সদস্যাও অংশ নেন।
রেদওয়ান মিলন/এমএএস