ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার  (২৫ জুন) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের শহরতলীর ডিক্রির চর ইউনিয়নের ধলার মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে ওই দুই শিক্ষার্থী ডুবে যায়। 

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর দমকল বাহিনীর দুই ডুবুরি সদস্য নদীর উপরিতলের আনুমানিক ২০ ফুট নিচ থেকে ডুবন্ত অবস্থায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী তাদের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

মৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ইলক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ মারুফ (২১) ও তার সহপাঠী রিয়াজ রাব্বি তামীম (২১)। 

এদের মধ্যে তামীমের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মধ্য আশুলিয়ায়। বাবার নাম শওকত হোসেন। আর মারুফের বাড়ি নোয়াখালীর উত্তর শরীফপুর গ্রামে। বাবার নাম মোজাম্মেল হোসেন। তবে বাবার চাকরির সুবাদে মারুফ বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গিতে বসবাস করছিলেন। 

ফরিদপুর দমকল বাহিনীর লিডার মো. নিসার আলী বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর- ৯৯৯ এর মাধ্যমে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে ওই দুই ছাত্রের ডুবে যাওয়ার খবর আমরা জানতে পারি। পরে আমাদের দমকল বাহিনীর দুই ডুবুরি সদস্য গিয়ে তাদের পানির প্রায় ২০ ফুট নিচ থেকে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

তিনি আরও বলেন, ধলার মোড় ঘাট এলাকায় ওই দুই ছাত্র ডুবে গিয়েছিল। উদ্ধারকারী ডুবুরিরা জানিয়েছে নদীর ওই জায়গায় চোরাবালি ছিল, পা দিলে ক্রমাগত ডুবে যেতে থাকে। পাশাপাশি ছিল গভীর পানি ঘূর্ণি। এই ঘূর্ণিতে পড়ে ওই দুই শিক্ষার্থী তলিয়ে যান।

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইইই বিভাগের শিক্ষক সানোয়ার হোসেন বলেন, কলেজের ছয় বন্ধু মিলে দুপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় মারুফ ভেসে যায়। তাকে বাঁচাতে তামীম এগিয়ে গেলে মারুফ ও তামিম স্রোতের তোড়ে ডুবে যায়। রাতে তাদের মরদেহ ফরিদপুর ডায়বেটিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাস্টার রোলের কর্মচারী দুলাল হোসেন বলেন, আজ তাদের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তারা পরীক্ষা দেয়নি। পরে সকলে মিলে কলেজের মাঠে খেলাধুলা করে দুপুরে গোসল করতে যায় পদ্মা নদীতে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা আসার পর তাদের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। 

জহির হোসেন/আরএআর