পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নে সরকারি সহায়তার চাল বিতরণের সময় জেলেদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে চাল কার্ডের সিরিয়াল দেওয়ার নামে জেলেদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হচ্ছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, সরকারের তালিকাভুক্ত প্রায় এক হাজার জেলে থেকে প্রতিজনের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করা হয়। বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে সেনাবাহিনী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ শুরু করে। এরপর সোমবার (৩০ জুন) বিকেল ৪টা, বাউফলে অবস্থানরত অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের সরাসরি তত্ত্বাবধানে জেলেদের কাছ থেকে আদায়কৃত পূর্ণ ২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয় জেলেদের হাতে।

টাকা ফেরত পেয়ে অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, দুই মাসের (এপ্রিল ও মে) ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই চাল নিতে উদ্যোক্তা ২০০ টাকা করে ঘুষ নেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হলে সেনাবাহিনী এসে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। জনগণের পাশে সেনাবাহিনী সবসময় থাকুক এটাই আমাদের চাওয়া।

ঘটনার সাথে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর ও উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পরিষদের সকল কার্যক্রম থেকে স্থগিত করা হয়েছে।

ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (প্যানেল-১) জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাল বিতরণের আগে আর্থিক লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আমার নজরে আসে। আমি তাৎক্ষণিক ইউএনও মহোদয়কে অবগত করি এবং তার নির্দেশনায় অভিযুক্ত উদ্যোক্তাকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে আদায়কৃত অর্থ জেলেদের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

আরিফুল ইসলাম সাগর/এমএএস