আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দিলো জনতা
সিলেটে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। জনতার হাতে আটক সেই নেতার নাম প্রদীপ রায়। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর লন্ডনি রোডের ১৩৭ নম্বর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এ সময় স্থানীয় জনতা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা প্রদীপ রায়ের অবস্থান শনাক্ত করেন স্থানীয় জনতারা। তারা প্রথমে বাসাটি ঘিরে ফেলেন এবং কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তাকে মারধর শুরু করেন। এরপর তাকে নিচে নামিয়ে আনা হয় এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুন উর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয় জনতা প্রদীপ রায়কে আটক করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। তার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, প্রদীপ রায় ছিলেন সুনামগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়া সেগুপ্তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার প্রভাবেই দিরাই ও শাল্লা উপজেলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ চলত। তিনি দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালে কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারুলিয়া জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় তার নাম আসামিদের তালিকায় ছিল। যদিও পরে তিনি পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অব্যাহতি পান।
২০২১ সালের ভাটিপাড়া জলমহাল সংক্রান্ত সংঘর্ষে একজন নিহত হলে সেই মামলায়ও তার নাম উঠে আসে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তিনি ও তার ভাই, দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎ রায় আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সাধারণ জনগণের সহায়তায় প্রদীপ রায়কে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
মাসুদ আহমদ রনি /এনটি