জামালপুরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নামে তৈরি করা ‘মির্জা আজম চত্বর’ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে জুলাই শহীদদের স্মরণে স্থাপন করা হবে জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ। চত্বরটি নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ওই চত্বরটির নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয় চত্বর’ নাম দেয় ছাত্র-জনতা। বর্তমানে এই নাম পরিবর্তন করে স্থাপন করা হচ্ছে জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে শহরের শেখের ভিটা এলাকায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাইপাস সড়কের জামালপুর-মাদারগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত চত্বরের স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করেছে গণপূর্ত বিভাগ।

জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জামালপুরেও সারাদেশের মতো স্থাপন করা হবে জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ। জামালপুর শহরের পশ্চিমে ছাত্র-জনতার নামকরণ করা বিজয় চত্বর ভেঙে এখানে জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা।

২০২৩ সালে ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের নামে নির্মাণ করা হয় মির্জা আজম চত্বর। চত্বরের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত স্থাপনাটির চারদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন প্রতিকৃতি ছাড়াও শেখ হাসিনা ও মির্জা আজমের প্রতিকৃতি ছিলো।

এছাড়াও সড়কের দুই পাশে সেই সময়ের আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রতিকৃতি ও পানির ফোয়ারা নির্মাণ করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে চত্বরটিতে ব্যাপক ভাঙচুর হয় এবং বিজয় চত্বর নামকরণ করা হয়।

এ বিষয়ে জানার জন্য গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. জাকির হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকি জানান, জুলাই শহীদের স্মরণে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণ হবে। এ জন্য বিজয় চত্বর ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

মুত্তাছিম বিল্লাহ/ এনটি