টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-লংগদু সড়ক। 

বুধবার (৯ জুলােই) রাত থেকে জেলার প্রধান ফেনী, মাইনী ও চেঙ্গি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি নামার গতি ধীর হওয়ায় এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের বড় মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। পানি কমে আসায় সীমিতভাবে বড় গাড়ি চলাচল করতে পারলেও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন চলাচল।

এদিকে মেরুং এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ছোট মেরুং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এছাড়া খাগড়াছড়ির চেঙ্গি নদীর পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় সদর উপজেলার নিচু এলাকাগুলো থেকে পানি সরে গেছে। 

কবাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন, কবাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ২১টি পরিবার পানি নেমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরেছেন।

দীঘিনালা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অখিল শিকারী বলেন, বড় মেরুং এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পুরোপুরি সড়ক চলাচলের উপযোগী হতে আরও সময় লাগবে। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছি। 

মোহাম্মদ শাহজাহান/আরকে