এ বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের তিনটি বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৭ শতাংশ এবং ফেলের হার ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫৮ জন।

কুড়িগ্রামের শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া ওই তিন বিদ্যালয় হলো—কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (যেখান থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে), নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় (যেখানে ১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে) এবং ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (যেখানে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে)। এ ছাড়া বেশ কিছু বিদ্যালয়ে কৃতকার্য শিক্ষার্থীর চেয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও প্রতিষ্ঠানটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সালে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। এ বছর ৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এবং তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের আশপাশের গরিব মানুষের বসবাস। পরীক্ষার্থীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা করছিল। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক ও ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও তিনি জানান।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম শতভাগ ফেলের বিষয়ে জানান, আমি কিছুদিন আগে এই জেলার শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে এসেছি। শতভাগ ফেল করা বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা কেমন, আমার জানা নেই। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে বিদ্যালয়গুলো থেকে কেন কেউ পাস করেনি, সেটির কারণ প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হবে।

মমিনুল ইসলাম বাবু/এএমকে