গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী কায়দায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে নোয়াখালীর শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালীর মাইজদী সুপার মার্কেট সংলগ্ন চার লেন সড়কে জুলাই বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গোপালগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান–এর নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর ছাত্র-জনতা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুপার মার্কেট সংলগ্ন চার লেন সড়কে এসে অবস্থান করে।

এ সময় ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ', ‘গোপালগঞ্জে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই,’ ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপদাদার,’ ‘সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে,’ ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার,’ ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীরা প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান–এর নেতাদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তা মুক্তিকামী ছাত্রজনতা মেনে নেবে না। হামলার নিন্দা ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী নেতাদের ওপর হামলা প্রমাণ করে সরকার আতঙ্কে রয়েছে। দেশের ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই হামলার জবাব দেবে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ফের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে জুলাই বিপ্লবীদের এভাবে দমন করা যাবে না। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবেই আমাদের এই অবস্থান। মনে রাখতে হবে—জুলাইয়ের কোনো নেতার ক্ষতি হলে বাংলার ছাত্র-জনতা ঘরে বসে থাকবে না।

হাসিব আল আমিন/এনটি