গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ছাত্র-জনতা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৬ টা থেকে মহাসড়কের কাউতলী এলাকায় অবস্থান নেন তারা। এ সময় কুমিল্লা-সিলেট লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিকেলে আন্দোলনকারীরা জেলা শহরের টেঙ্কেরপাড়স্থ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় নানা ধরনের প্রতিবাদী স্লোগান দেন তারা। এর ১৫-২০ মিনিট পর আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে সড়ক ছেড়ে দেন।

এ সময় ‘গোপালগঞ্জে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই,’ ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপদাদার’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দেয়’, ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’— ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক আজিজুর রহমান লিটন বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আবার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তার মধ্যে আবার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের গাড়িতে হামলা করে। নেতৃবৃন্দদের আঘাত করার চেষ্টা করেছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এর দায় নিতে হবে। এসব করে কোনোভাবে এনসিপির নেতাকর্মীদের দমানো যাবে না। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদের এ অবস্থান। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। কিছু সময়ের জন্য সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও যান চলাচল এখন স্বাভাবিক আছে।’ 

কর্মসূচিতে অন্যান্যমতে উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিহান মাহমুদ, সদর উপজেলা কমিটির সমন্বয়কারী মো. আক্কাস মিয়া, জেলা কমিটির সদস্য ও আশুগঞ্জ উপজেলা কমিটির সমন্বয়কারী জয়ন্ত বিশ্বাস, বাকসাস এর সদস্য মোহাইমিনুল আজবিন, তাজুল ইসলাম, উদয়, আহনাফ, শিফাত নূর প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

মাজহারুল/ডিএ