সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাকে সরে যেতে বলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনায় নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রহমান রিপনের নামে মামলা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী।

এর আগে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই নওগাঁ সদর মডেল থানায় রিপনের নামে মামলা করেন সদর ট্রাফিক বিভাগের ভুক্তভুগী কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার  সকাল থেকেই শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় ট্রাফিকের ডিউটিতে ছিলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই সড়ক হয়ে একটি মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওই মুহূর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে সেখানে নামেন মামুনুর রহমান রিপন। এতে যানজট সৃষ্টি হলে রিকশাটিকে সেখান থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করার পাশাপাশি ওই কনস্টেবলকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মামুনুর রহমান রিপনসহ তার সঙ্গে থাকা ৭-৮ যুবক। পাশাপাশি আওয়ামী দোসর ট্যাগ দিয়ে কনস্টেবল আমিনুল ইসলামকে নওগাঁ ছাড়া করার হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম বলেন, রিকশাটিকে সরে যেতে বলায় মামুনুর রহমান রিপন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার দুই গালে কয়েকবার চড়-থাপ্পড় দিয়ে বাড়ি কোথায় জানতে চান। ঘটনার ভিডিও মামলার এজাহারের সঙ্গে সংযুক্ত করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মামুনুর রহমান রিপনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার পর থেকেই বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান রিপন পলাতক রয়েছেন। গতকাল সেনাবাহিনীসহ তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, মামুনুর রহমান রিপন জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম শামীম/এএমকে