জুলাই বিপ্লবের বার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জে প্রতীকী ম্যারাথন
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে জাগ্রত করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে একটি প্রতীকী ম্যারাথনের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই প্রতীকী ম্যারাথন শহরের হাজীগঞ্জ এলাকায় সদ্য নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম “জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ” পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই ম্যারাথনে অংশ নেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসিনা মমতাজ, জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রথম শহীদ মোহাম্মদ আদিলের বাবা আবুল কালাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব জাবেদ আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রোভার স্কাউটসের সদস্য এবং শতাধিক শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলুন উড়িয়ে প্রতীকী ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা পদক ও বিজয়ীদের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন। এ সময় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, উপপরিচালক হাসিনা মমতাজ, মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, আবুল কালাম এবং জাবেদ আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষক আরিফ মিহির।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, “জুলাই পুনর্জাগরণের অংশ হিসেবে প্রতীকী এই ম্যারাথন শুধু একটি ক্রীড়া কর্মসূচি নয়—এটি একটি প্রতিজ্ঞা, একটি স্পিরিট, যেখান থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রেরণা পাই। শহীদদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা জীবন দিয়েছিলেন এই দেশের জন্য, তারা চেয়েছিলেন দেশের একটি সংস্কার। তাই শহীদদের আত্মত্যাগ যেন কোনোভাবেই বৃথা না যায়। আমরা শুধু তাদের স্মরণই করব না, তারা যে জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন, সেটা বুকে ধারণ করব, লালন করব সারাজীবন। আমরা যদি সেটিকে ধারণ করতে না পারি, শুধুমাত্র একবার ম্যারাথন দিয়ে স্মরণ করলেই তা যথেষ্ট হবে না। আমাদের সবাইকে জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করতে হবে।”
আরএআর