চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেল ৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়া সেই ছাত্রী
জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিদ্যালয় ভবনের ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়া স্কুলছাত্রী সাথিয়া জান্নাত আলো (১৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরের দিকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত সাথিয়া জান্নাতের বড় বোন আখি আক্তার।
নিহত সাথিয়া জান্নাত আলো বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার জেলখানা রোডের বাবু মিয়ার মেয়ে ও বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এর আগে, গত ২১ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের ছয় তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দেয় সে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের ছয় তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হয় সাথিয়া। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (নিটোর) পাঠানো হয়। দীর্ঘ ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাথিয়ার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন
সাথিয়ার বড় বোন আখি আক্তার বলেন, ‘গত ২১ জুলাই দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর মোহাম্মদ টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সাথিয়াকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে ছয় তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়।’ এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী সাথিয়ার চাচা আবুল কালাম বাদী হয়ে উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে দায়ী করে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘সাথিয়া জান্নাত আলো নামের এক শিক্ষার্থীর চাচা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুত্তাছিম বিল্লাহ/এএমকে