সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ছাত্রদের বাদ দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন
ছাত্র-জনতার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, সংগীত, কুইজ প্রতিযোগিতা, চলচিত্র প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী। এই আয়োজনে হাতেগোনা কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অংশ নিলেও কলেজের অধিকাংশ ছাত্র ও ছাত্র সংগঠনই ছিলেন এর বাইরে।
এ নিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ছাত্রদের প্রোগ্রাম, অথচ ছাত্রদেরই জানানো হয়নি।
জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার হোসেন বলেন, “আমরা যারা আন্দোলনের সময় রাজপথে ছিলাম, তাদের কাউকেই জানানো হয়নি। কোনো ডিপার্টমেন্ট, কোনো ছাত্র সংগঠন—কারোর সাথেই যোগাযোগ করা হয়নি। এটা শুধু অবজ্ঞা না, এটা হলো আন্দোলনের চেতনার অপমান।”
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মাসুদুল আলম বলেন, ছাত্রদের নিয়ে প্রোগ্রাম অথচ আমরা ছাত্রদল বা সাধারণ ছাত্ররা কোনো দাওয়াতই পেলাম না। কলেজের অনেক শিক্ষক যারা আগে আন্দোলনে বাধা দিয়েছিলেন, তারাই এখন নেতৃত্বে। অথচ আন্দোলনের মুখ যারা ছিল, তাদের ডাকাই হয়নি। আমরা কলেজ প্রশাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই।
বিজ্ঞাপন
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রশিবির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা অনুষ্ঠানটির কথা শুনেছিলাম, কিন্তু কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কেন ছাত্র সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে আপাতত।
অনেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, এই আয়োজন পরিকল্পিতভাবে গুটি কয়েকজনকে নিয়েই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এতে আন্দোলনকামী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অবজ্ঞা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাশেম ফোন রিসিভ না করায় কলেজ প্রশাসনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কলেজজুড়ে এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা চায়, ভবিষ্যতে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ আর যেন না ঘটে।
ইব্রাহিম খলিল/আরকে