কুমিল্লায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু
ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ বুঝে নিলেন স্বজনরা
কুমিল্লায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের চারজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো হস্তান্তর করে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর করে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মরদেহ বুঝে নেওয়ার সময় নিহত ওমর আলীর বড় মেয়ে হাসিনা আক্তার, ছোট মেয়ে রোকসানা আক্তার বিথি, তাদের স্বামীরা এবং আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, সবাইকে পাশাপাশি দাফন করা হবে। জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়নের হোসেনপুর বেপারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে। শুক্রবার রাত ১১টায় হোসেনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
নিহত ওমর আলীর চাচাতো ভাই সাব্বির হোসেন সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা মরদেহ নিতে এসেছি। গ্রামের প্রতিবেশীরা কবর খোঁড়ার কাজ করছেন। তাদের সবাইকে পাশাপাশি কবর দেওয়া হবে। হোসেনপুর বেপারী বাড়িতে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে তাদের। পুলিশ ময়নাতদন্ত করতে বলেছিল, কিন্তু আমরা ময়নাতদন্ত করতে দেইনি।
উপপরিদর্শক আনিছুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতদের স্বজনরা ময়নাতদন্ত করতে না দেওয়ায় অন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার হোটেল নূরজাহান এলাকার ইউটার্নে প্রাইভেটকারের ওপর কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহত হন। নিহতরা হলেন- কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা গ্রামের ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), দুই ছেলে আবুল হাসেম (৫০) ও আবুল কাশেম (৪৫)। বড় ছেলে আবুল হাসেম গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তারা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
আরিফ আজগর/এএমকে