নোয়াখালী জেলার মাইজদীতে স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরকে আটক রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের চেষ্টা করেছে সাত-আটজন বখাটে। এ সময় ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ওই গৃহবধূ একটি ভবনের দোতলা থেকে লাফ দেন। এতে তার পা ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগে, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে শহরের পৌর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন—সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে হানিফ এবং একই ইউনিয়নের বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে গত শুক্রবার সকালে পৌর বাজারে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়। এর মধ্যে হঠাৎ ৮-১০ জন বখাটে তাদের দুজনের মধ্যে কী সমস্যা তা জানতে চায়। তারা জানায়, এটি তাদের পারিবারিক বিষয়, কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু বখাটেরা এসব শুনতে না চেয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা করে দুটি রুমে নিয়ে যায় এবং স্বামীকে মারধর করে।

খবর পেয়ে তাদের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনও আসেন। কিন্তু ওই বখাটেরা কারো কোনো কথা না শুনে সবাইকে আটক করে রাখে এবং অসদাচরণ করে। পরিবারের সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, এই সময় অন্য কক্ষে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বখাটেরা। একপর্যায়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ওই গৃহবধূ দোতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে তার পায়ে রড ঢুকে যায় এবং পা ভেঙে যায়। পরে দ্রুত বখাটেরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে ওই গৃহবধূর আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।

গৃহবধূর স্বামী জানান, বিষয়টি তারা পৌর বাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তাকে অবহিত করেন। পরে তিনি গোপনে লোকজন দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকা দুজনকে রোববার বিকেলে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এএমকে