ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশ
সোনালীর বাড়িতে গিয়ে পাকা ঘরের ঘোষণা ডিসির
ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষক ফেরদৌসি আক্তার সোনালীর পরিবারের ভাগ্যে এসেছে নতুন সম্ভাবনা। জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরের বদলে তাদের জন্য নির্মাণ করা হবে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন পাকা ঘর, আর ভ্যানের পরিবর্তে দেওয়া হবে নতুন ইজিবাইক।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বনগ্রামে সোনালীর বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবেত আলী। একইসঙ্গে বাড়ির সামনের কাঁচা সড়কটি পাকা করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ১৬ আগস্ট ঢাকা পোস্টে ‘আমি ভ্যান চালাই, আমার মেয়ে বিমানে চড়ে খেলতে যায়’ শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে সোনালী ও তার বাবা ভ্যানচালক ফারুক ইসলামের জীবনের সংগ্রামের গল্প উঠে আসে। ওই প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের নজরে এলে তিনি সরাসরি তাদের খোঁজ নিতে আসেন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ডিসি সাবেত আলী এদিন সোনালীর হাতে উপহার তুলে দেন এবং স্মৃতি হিসেবে বাড়ির উঠানে একটি তেঁতুল গাছের চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি টুকু ফুটবল একাডেমিকে এক লাখ টাকা অনুদান, হাড়িভাসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি দেয়াল ও সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণের বরাদ্দেরও ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আবুল হাসেম, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম, টুকু ফুটবল একাডেমির পরিচালক টুকু রেহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ভ্যানচালক ফারুক ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের কারণে আজ আমার ভাঙা ঘরে ডিসি, ইউএনও এসেছেন- এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব।
ফুটবলার ফেরদৌসি আক্তার সোনালী বলেন, জেলা প্রশাসক পাশে দাঁড়িয়েছেন, এটা আমার পরিবারের জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি কষ্ট করে এগোচ্ছি, এখন স্বপ্ন পূরণের আরও শক্তি পেলাম।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, ভ্যানচালকের মেয়ে হয়েও সোনালী জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে, যা আমাদের ইউনিয়নের জন্য বিরাট গৌরবের। ডিসি মহোদয় তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় আমরা কৃতজ্ঞ।
ডিসি সাবেত আলী বলেন, সোনালী দারিদ্রতার বেড়াজাল ভেঙে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে। আমরা তার পরিবারের জন্য একটি পাকা ঘর এবং রাস্তা নির্মাণ করবো। একইসঙ্গে তার বিদ্যালয় ও ফুটবল একাডেমির উন্নয়নেও বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে, যাতে এখান থেকে আরও প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ তৈরি হয়।
নুর হাসান/এমএসএ