৮ বছর ধরে ভাঙা সেতু, বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষের চলাচল
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মেকলী ও ছাটকালুয়া গ্রামের কামারের ছড়া বিলে একমাত্র যোগাযোগের ব্রিজটি ভেঙে গেছে দীর্ঘ আট বছর আগে। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় ব্রিজটির তলদেশের মাটি সরে গিয়ে এটি ধসে পড়ে। এরপর থেকে কয়েক গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হলেও মেরামত বা নতুন সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ব্রিজ ভাঙার পর স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো ও ড্রামের ভেলা তৈরি করে যাতায়াত চালু রাখেন। তবে সেগুলোও এখন নড়বড়ে হয়ে পড়ায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আলী (৬০) বলেন, ব্রিজটি পুরোনো ছিল, তাই বন্যায় ভেঙে যায়। তারপর থেকে আর ব্রিজ হয়নি। আমরা বাঁশের সাঁকো ও ড্রামের ভেলা দিয়ে খুব কষ্টে যাতায়াত করছি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
মোশারফ হোসেন (৫০) নামে আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রাতে পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটে। পাশেই একতা বাজার কিন্তু ভাঙা ব্রিজের কারণে যাওয়া সম্ভব হয় না।
ছাটকালুয়া গ্রামের আবুল হোসেন (৫৭) জানান, ব্রিজ ভাঙার পর গ্রামবাসী ড্রামের ওপর ভাসমান বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। কিন্তু তা প্রতি বছর ভেঙে যায়। কয়েক গ্রামের মানুষ টাকা ও ধান তুলে আবার নতুন করে সাঁকো বানাতে হয়।
এ বিষয়ে ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, ছাটকালুয়া ও মেকলী দুই ওয়ার্ডের মাঝামাঝি এই ব্রিজটি ২০১৭ সালে ভেঙে যায়। এরপর গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মণ্ডল বলেন, নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
মমিনুল ইসলাম বাবু/এমএসএ