ডিসির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ দেখে অবাক অসুস্থ দম্পতি
এলাকায় সারাদিন ঘুরে ঘুরে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন শহিদ মিয়া। সেই ঝালমুড়ি বিক্রির টাকায় কোনো রকমে সংসার চলছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। শহিদ মিয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার লাকীবাজার এলাকার বাসিন্দা মরহুম রহম আলীর ছেলে।
শহিদ মিয়া জানান, বিভিন্ন হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কবিরাজের কাছে ছোটাছুটি করেছি। চিকিৎসার জন্য যা কিছু সহায়-সম্বল ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। আজ আমার অবস্থা পথের ভিখারির মতো। স্ত্রী হাসি বেগমও নানান জটিল রোগে ভুগছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনের চিকিৎসা করার মতো আর কোনো সামর্থ্য নেই তাদের।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী ও মায়ের আঁচল সাহিত্য সামাজিক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন সহযোগিতার হাত বাড়ালেও তা ছিল চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অবশেষে অসহায় শহিদ-হাসি দম্পতি বুধবার ছুটে যান নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়ার কাছে। তারা শুনেছেন জেলা প্রশাসক খুুবই মানবিক মানুষ। সেই ভরসায় ডিসির কার্যালয়ে হাজির হন তারা।
এ সময় জেলা প্রশাসক তাদের ব্যাপারে সাবির্ক খোঁজ-খবর নিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা শহিদ ও তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার চেক দেন।
বিজ্ঞাপন
অনুভূতি প্রকাশ করে অসহায় এই দম্পতি বলেন, ডিসি স্যারের কাছে আজকেই আমরা আবেদন করেছিলাম। উনি কোনো বিলম্ব না করে আজই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা তার জন্য দোয়া করি। সবার কাছে ডিসি স্যারের সুনাম শুনেছি। আজ নিজে প্রমাণ পেলাম। উনি সত্যিই একজন মানবিক ডিসি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, অসহায় এক দম্পতি চিকিৎসার সহযোগিতার জন্য এসেছিলেন। খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া জেলা প্রশাসন থেকে তাদের নিয়ম অনুযায়ী সহযোগিতা করা হয়েছে।
এমএএস