শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ দিনের আলটিমেটাম রনির
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে টানা এক মাসের আন্দোলনের পর অবশেষে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। বুধবার দুপুরে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের পরিচালকের কক্ষে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিসহ ১০-১২ জন প্রতিনিধি। অন্যদিকে, হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কয়েকজন চিকিৎসক ও ওয়ার্ড মাস্টার উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে বিকেলে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রনি জানান, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কার না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামবো। শুধু শেবাচিম নয়, সারাদেশের হাসপাতাল সংস্কার চাই। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল প্যাডে লিখিত অঙ্গীকার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে এখন তারা বরিশালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, স্কুল-কলেজে জনসংযোগ করবেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে হাসপাতাল পরিচালক জানান, গত কয়েক মাসে হাসপাতালের অবকাঠামো ও সেবায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। অকেজো ৯৫টি মেশিন সচল করা হয়েছে, ডায়ালাইসিস, সিটি স্ক্যান, এন্ডোস্কপি ও জটিল অপারেশন চালু, বহির্বিভাগ স্থানান্তর, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স, ট্রলি ও টয়লেট সংস্কার
তিনি বলেন, আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে বরিশালে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র, ৫০ বেডের আইসিইউ, এমআরআই ও ক্যাথল্যাব চালু হবে। দীর্ঘমেয়াদে হাসপাতালটিকে ৩ হাজার শয্যায় উন্নীত করা এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস