পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ, এক দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকায় পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ জসিম মোড়লের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত হাশেম মোড়লের ছেলে।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে পাগলা থানার মুখী ব্রিজঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ দেখে ওই এলাকার সুতিয়া নদীতে ঝাঁপ দেন তিন যুবক। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে মুখী ব্রিজঘাট নদীর পাড় এলাকায় তদন্তে যায় পুলিশের একটি দল। সে সময় পুলিশ দেখে পাশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ থেকে জসিম, ফাহিম ও সোহেল নামে তিন যুবক সুতিয়া নদীতে ঝাঁপ দেন। ধারণা করা হচ্ছে- এই তিন যুবক মঠ এলাকায় মাদক সেবন করতে এসেছিলেন। পুলিশের ভয়ে তারা সুতিয়া নদীর মুখী ব্রিজঘাট এলাকায় ঝাঁপ দেন। এ ঘটনায় দুজন সাঁতরে নদী থেকে উঠে আসলেও নিখোঁজ হন জসিম মোড়ল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করা হয়। 

এরপর রোববার সকাল থেকে আবারও নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে মুখী ব্রিজঘাট এলাকায় নিখোঁজ জসিম মোড়লের মরদেহ ভেসে উঠলে ডুবুরি দল উদ্ধার করে।

ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, সুতিয়া নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো৷ ফেরদৌস আলম বলেন, পুলিশ একটি তদন্তের কাজে ওই এলাকায় গিয়েছিল। নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তিন যুবক মঠে বসে মাদক সেবন করছিল। এ সময় পুলিশ দেখে ওই তিন যুবক নদীতে ঝাঁপ দেন। দুইজন সাঁতরে উঠে আসলেও জসিম নিখোঁজ ছিলেন। আজ জসিমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আমি ঘটনাস্থলেই আছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

আমান উল্লাহ আকন্দ/আরএআর