ছাত্রদলের দাবি নাকচ
নির্ধারিত তারিখেই রাকসু নির্বাচন, ভোটার নয় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা
নির্ধারিত তারিখেই (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটার তালিকায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হবে না।
রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সকল প্রার্থী ও প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি সভা করে নির্বাচন কমিশন। সভায় সবার সিদ্ধান্তের আলোকে এ কথা জানান ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ।
বিজ্ঞাপন
এ সময় রাকসুর নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ রাকসু নির্বাচনের প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রসংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নিলেও বর্জন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে মতবিনিময় সভা বর্জন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরাও।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমরা মতবিনিময় সভা বয়কট করেছি। আমরা প্রশাসনের ডাকে এখানে এসেছিলাম, কিন্তু এসে দেখি কথা বলার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আজ ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে। তাই আমরা ‘পাকিস্তানি’ প্রশাসনের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের মতবিনিময় সভায় থাকব না।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমরা একা মতবিনিময় সভা বর্জন করিনি। আমাদের সাথে আমাদের বন্ধুসুলভ সংগঠন ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরাও এটি বয়কট করেছেন। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে রাকসুর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আজকের মতবিনিময় সভায় আহ্বান করেছি। এখন কেউ যদি আমাদের মতবিনিময় সভা বয়কট করে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা দেন। সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমন্বয়করা এ ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এ অবস্থায় দুপক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। অন্যদিকে বহিরাগত ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন এবং তাদের চলে যেতে বলেন। একপর্যায়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
জুবায়ের জিসান/আরএআর