পুকুরের পানিতে ডুব দিয়ে মিলিয়ে যায় মাদরাসা শিক্ষার্থী, পরে মরদেহ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহে জামি'আ কারীমিয়া মাদরাসার পুকুরের পানিতে ডুবে সামাউল নামে ২০ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সামাউলকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত সামাউল ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের রায়পাড়ার ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি জামি'আ কারীমিয়া মাদরাসায় মাওলানা পড়ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মাদ্রাসার শিক্ষক আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আসরের নামাজের পর সামাউল তার দুই সহপাঠি হুজাইফা ও আবিরকে সাথে নিয়ে মাদরাসার পুকুরে গোসল করতে যায়। সামাউল একাই পুকুরে নেমেছিলো আর সঙ্গে থাকা দুজন পুকুর পাড়ে দাড়িয়ে ছিলো। ওই সময় সামাউল তাদের বলে, আমি কতক্ষণ ডুব দিয়ে থাকতে পারি তোমরা দেখো, এট বলে সে ডুব দেয়। কিছু সময় পার হলেও সে আর পানির নিচ থেকে ওঠে আসছিল না। এরপর হুজাইফা ও আবির আমাদেরকে খবর দেয়। কিছু শিক্ষার্থীরা পুকুরে নেমে প্রায় ২০ মিনিট পর পানির নিচে উপুড় অবস্থায় সামাউলকে উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট নেয়া হলে তিনি সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে আমরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে মৃত ঘোষনা করেন।
বিজ্ঞাপন
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মেহেবুবা মুস্তারী মৌ বলেন, সন্ধ্যার দিকে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে আনা হলে তাকে মৃত ঘোষনা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। বিস্তারিত জানতে হাসপাতালে যাচ্ছি। চিকিৎসক ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আফজালুল হক/এমটিআই